দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের সবগুলো প্রবেশ মুখ ও ভবনেরর আশপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার, কয়েক প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের চারদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচন ভবনের চারপাশের সকল সড়ক বন্ধ করে দিয়ে পর্যটন করপোরেশনের প্রবেশ পথটি খোলা রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যমের কর্মীরা ও ইসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছ।
যদিও তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বন্ধ ছিল আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনের সড়ক। আর সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা। সবমিলিয়ে কঠোর নিরাপত্তায় ঢেকে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য ভোট ও ভোটারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
বসানো হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী ক্যাম্প। এছাড়া এপিসি, জল-কামান নিয়েও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
এদিকে নির্বাচন কমিশনাররা রাজধানীর নিজ কেন্দ্র ভোট প্রদান শেষে নির্বাচন ভবনে আসবেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে এক হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৯৯ আসনের নির্বাচনে ৪২ হাজার ২৪টি কেন্দ্রের দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এতে নয় লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছেন।
মোট ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছে ৮৪৮ জন।