বাঁশখালী থেকে:
নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস মেলা চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রথম এক ঘণ্টায় কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। সময়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে ভোটার উপস্থিতিও। তবে রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় বাঁশখালী সড়কের চানপুর থেকে জলদি পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়- কেন্দ্রে কেন্দ্রে কিছু মানুষের উপস্থিতি। তবে সড়ক একেবারেই মানুষশূন্য।
সকাল ৯টায় উত্তর চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের লাইন দেখা যায়। ভোটাররা লাইনে দাাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৯০ জন।
তবে প্রথম ঘণ্টায় ৬০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ সোলায়মান। তিনি বলেন, 'সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ধীরে ধীরে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।'
ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন ষাটোর্ধ তাহেরা খাতুন। এই নারী ভোটার বেশ উৎফুল্ল নিয়ে বলেন, ‘জীবনে বহুবার ভোট দিয়েছি, এবারও দিলাম। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখছি। এরকম হলে ভালো লাগে।’
এই কেন্দ্র থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে পূৃর্ব চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে অবশ্য ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি। এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যাও আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ-৪ হাজার ৮২১ জন।
এই কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, প্রথম ঘণ্টায় ৩০০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটার উপস্থিতি বেশ সন্তোষজনক।
এই দুই কেন্দ্রে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কেননা এই কেন্দ্র দুটি পড়েছে স্থানীয় চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের বাড়ির পাশে। পিটার হাসকে 'হত্যার' হুমকি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা কারণে বেশ আলোচনায় আছেন এই চেয়ারম্যান। তবে প্রথম এক ঘণ্টায় কোনো ঝামেলা হয়নি।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে এই কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যস্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এভাবে যদি ভোটগ্রহণ হয় তাহলে আমি জয়ী হবো।