জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হলো নির্বাচন। ফলে নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে কে কতটা জনপ্রিয় নেতা। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভোট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন অল ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী।
এ সময় তিনি বলেন, 'আমি একাধিক বার বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। ২০২৪ এর নির্বাচন নিয়ে বহু আশংকার কথা শুনেছিলাম। আমি সকাল থেকেই ঢাকা শহরের অনেক গুলো কেন্দ্র ঘুরেছি। সকাল থেকে শীতের কারণে ভোট দানের হার কম ছিলো। তবে বেলা যত বাড়ছে ধীরে ধীরে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ভোট দানে অংশ নিচ্ছে এবং পছন্দ মত প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন।'
তিনি আরো বলেন, 'একটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, ২৬টি দল প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। কিন্তু কোন কোন কেন্দ্রে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন, কোথাও ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন, পুরুষ-মহিলা প্রার্থী রয়েছে। তবে সেখানে মানুষ তার পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে এমন কোন নীতি নেই যে কোন একটি নির্দিষ্ট শতাংশ ভোট কাউকে পেতেই হবে তবে তিনি নির্বাচনে জয়ী হবে। নিয়ম অনুযায়ী যে বেশি ভোট পাবে তিনিই জয়ী হবেন।'
নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানতে চাইলে গৌতম লাহিড়ী বলেন, '২০১৪ সালে যারা নির্বাচন বয়কট করেছিল ২০২৪ সালে তারাই নির্বাচন বয়কট করেছে। ঐসময়ের তুলনায় আমার মনে হয় এবার ভোটের শতাংশের হার বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত আমি যে কয়টা কেন্দ্র ঘুরছি সেখানো কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনিনি। প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলেছি কিন্তু তারা কোনো অভিযোগ করেনি। প্রার্থীরা মনে করছেন বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটাররা এসে ভোট দিয়ে যাবে।'