নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে লালমনিরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও লালমনিরহাট-৩ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর নির্বাচন বর্জন করেছে। এছাড়া লালমনিরহাট ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ১৫টি কেন্দ্রের ভোট স্থাগিত চেয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা ভোট স্থগিত ও বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট -১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান বলেন, সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলছিল। কিন্তু বেলা ১২টার পর থেকে নৌকার প্রার্থী মোতাহার হোসেনের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেন নৌকার সমর্থিত কর্মীরা। এ খবর পাওয়ার মাত্রই হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেলে তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে। ছবি তুলতে গেলেও তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর সহ তাদের উপর হামলা চালায়। এছাড়াও গুড্ডিমারী ও ফকিরপাড়া ইউনিয়নেও ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। তাই আমি এসব কেন্দ্রের ভোট স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি। আশা করছি তিনি আমার এই অভিযোগগুলো আমলে নিবেন। এ আসনে নির্বাচন করছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন ও সাবেক সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান।
একই অভিযোগ করেন, লালমনিরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু অনেকেই ভোট না দিতে পেরে চলে গেছেন। তাদের অভিযোগ ছিল ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছিল। তাই আমি এই ভোট বর্জন করছি। লালমনিরহাট- ২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরজামান আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেরাজুল হক।
এদিকে বিকেল তিনটার দিকে লালমনিরহাট-৩ সদর আসনের প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর একই অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাহিদ হাসান ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।