ফেনী-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্ল্যাহর সাথে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে নির্বাচনী এলাকা সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজার অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে বিকালে ভোট শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগে বেলা ৩ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এ প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্ল্যাহ বলেন, এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমার দায়িত্বরত প্রতিনিধিকে জাল ভোট দিতে বলেছে। তার নির্দেশ এখানে ভোট কারচুপি হয়েছে। ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে।
ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে ফেনী-৩ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যে সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার আশ্বাসে আমি ভোট করেছি সেটি আমার আসনে বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, এধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমাকে ডেকে বের করে এনে মারধর করে চোখে আঘাত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অন্যদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মোমেনা আক্তারকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে সোনাগাজী উপজেলায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে জাল ভোট দিতে গিয়ে ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ আসনে ১০ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন।
ফেনী-৩ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫২ জন। এদের মাঝে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২ জন। অপরদিকে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন।