টাকা আর জিলাপির কাছে ভোটাররা বিক্রি হয়েছে: হিরো আলম 

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া | 2024-01-07 23:24:57

হাজার টাকার একটি করে নোট আর জিলাপির পোটলার কাছে হিরো আলমের ভক্তরাও বিক্রি হয়ে যেতে পারে ভাবতেও পারিনি। ভোট কেন্দ্রের পাশে টাকা আর জিলাপির পোটলা নিয়ে বসে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার কর্মীরা। আমার কাছে প্রমান আছে উল্লেখ করে এমন মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তার পরাজয়ের জন্য ভোটারদের দুষলেন তিনি।

নির্বাচনে বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। তিনি ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। আর হিরো আলম পেয়েছেন ডাব প্রতিকে ২ হাজার ১৭৫।

নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে হিরো আলম বলেন, এই ফলাফল আমি মানিনা। ভোটের ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার  বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন হিরো আলম।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের পাশে জিলাপির পোটলা নিয়ে বসেছিল। তারা কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। ভোটারদের হাতে হাতে হাজার টাকার নোট আর জিলাপির পোটলা দিয়েছে, আমার কাছে ছবি এবং প্রমাণ আছে। ছবিসহ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। টাকার লোভে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতার ঈগলের ভোট করেছে।

তবে নির্বাচিত জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেনের ফলাফল নিয়ে  হিরো আলম বলেন, উপনির্বাচনে আমাকে তানসেনের সাথে ৮২০ ভোটে হারানো হয়েছিল। এবারও ঈগল মার্কার প্রার্থীকে প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধান দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, তানসেনের কোনো ভোট নাই। দুপুরের খাবারের বিরতির সময় সিল মারা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর