কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং ৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফলাফল এসব ফলাফল ঘোষণা করেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর জয়ী হয়েছেন। কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ জাহের, কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন শামীম, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল এবং কুমিল্লা-১১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব।
কুমিল্লার ১১টি আসনে ৯৩ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪৬ লাখেরও বেশি ভোটারের এই জেলায় ৪৭ দশমিক ৭২ শতাংশ হারে ভোট পড়েছে। ভোট গ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সরব উপস্থিতি জেলার সার্বিক পরিস্থিতি সুশৃঙ্খল রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী কুমিল্লা-১ আসনে বিজয়ী মো: আবদুস সবুর (নৌকা) ১১৩৯০৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাঈম হাসান (ঈগল) ১৬৫৮০ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-২ আসনে বিজয়ী মো: আবদুল মজিদ (ট্রাক) ৪৪৪১৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিমা আহমাদ (নৌকা) ৪২৪৫৩ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৩ আসনে বিজয়ী জাহাঙ্গীর আলম (ঈগল) ৮৩৯৭১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (নৌকা) ৭২০১৪ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৪ আসনে বিজয়ী মো: আবুল কালাম আজাদ (ঈগল) ৯৬৮০৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (নৌকা) ৮১২৫৭ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ আসনে বিজয়ী এম এ জাহের (কেটলি) ৬৫৮১০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন (ফুলকপি) ৬১৫২২।
কুমিল্লা-৬ আসনে বিজয়ী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (নৌকা) ১৩২২১০ ভোট ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্জুম সুলতানা (ঈগল) ৪৪৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৭ আসনে বিজয়ী প্রাণ গোপাল দত্ত (নৌকা) ১৭৩৬৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বী মো: মুনতাকিম আশরাফ (ঈগল) ১১৬৬৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৮ আসনে বিজয়ী আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন (নৌকা) ২০০৭২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচএম এম ইরফান (লাঙ্গল) ৩৭২১ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৯ আসনে বিজয়ী মো: তাজুল ইসলাম (নৌকা) ২৩৩৯৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: আবু বকর ছিদ্দিক (চেয়ার) ৮২৬০ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১০ আসনে বিজয়ী আ হ ম মুস্তফা কামাল (নৌকা) ২৩২৬৯৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিসেস জোনাকী হুমায়ুন (লাঙ্গল) ৮৫৪৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১১ আসনে বিজয়ী মো: মুজিবুল হক (নৌকা) ১৮১৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: মিজানুর রহমান (ফুলকপি) ২২৭০০ ভোট পেয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার পূর্বে কুমিল্লার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান, ভোটের দিন বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৯টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুরাদনগর ২, দেবিদ্বার ১টি, চৌদ্দগ্রামের ৬টি। জুডিশিয়াল একটি মামলায় একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ২২টি মামলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।