দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারালেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী জামানত রক্ষা করতে মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। সেই অনুযায়ী বগুড়া-৪ আসনে বৈধ ভোট পড়েছে ৯৩ হাজার ৭৪৯ টি। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রার্থীকে পেতে হবে ১১ হাজার ৭১৯ ভোট। সেখানে হিরো আলম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৫ ভোট।
বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। হিরো আলম ছাড়াও যারা জামানত হারালেন তারা হলেন জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮২৬। স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৮ ভোট। গণতন্ত্রী পার্টির মনজুরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ ভোট। এই আসনে জেলা জাসদের সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা ও কাহালু উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভা নিয়ে বগুড়া-৪ আসন গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা ২৮ দশমিক শুন্য ৪ ভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে অংশ নিয়েছিলেন হিরো আলম। সেবার নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
হিরো আলম ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীকে একসঙ্গে দুটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। বগুড়া- ৪ আসনে হিরো আলম ভোট পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। আর রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাত্র ১১ মাসের ব্যবধানে এত কম ভোট পাওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, 'ভোটের দিন এক হাজার টাকার নোট আর জিলাপির পোটলা দিয়ে হিরো আলমের ভক্তদের কেনা হয়েছে। টাকার কাছে তিনি হেরেছেন। এছাড়াও নির্বাচনে কারচুপিরও অভিযোগ করেন হিরো আলম।'