আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অব দ্য হাউজ যিনি হবে তিনি পরিস্থিতি, বাস্তবতা ও করণীয় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন কারা বিরোধী দল হবেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীঢর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্থাপিত মিডিয়া সেন্টারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
‘বিরোধী দল কারা হবে’ এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের রেজাল্ট অফিসিয়ালি ঘোষণা হওয়ার পর বিরোধী দল কারা, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অলরেডি অনেকেই জিতেছেন, ১৪ দলেরও দুজনের মত জিতেছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার সময় তো দূরে নয়। যিনি হাউজ অব দ্য লিডার হবেন তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি। তারা নির্বাচিত। এই নির্বাচিত সদস্য হিসেবেই সংসদে বসবেন তাদের ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া অন্য কিছু এই মুহূর্তে ভাববার অবকাশ নেই।
২৯৯ এর মধ্যে ২২৩ একা একটা রাজনৈতিক দল জিতেছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কত? অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে স্বতন্ত্রই জিতবে বেশি। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগই। ২২৩ জন রুলিং পার্টি থেকে জেতা এটা তো একটা পজিটিভ বাস্তবতা, বলেন তিনি।
কাদের নিয়ে বিরোধী দল করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি কেন আপনাকে বলবো? নতুন সরকার বসুক। সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটা স্বীকৃতির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের ইলেকশনটা কেমন হয় জানতে চায়? আমরা বলেছি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ইলেকশন কন্ডাক্ট করবে। আমাদের এই কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না গণতান্ত্রিক বিশ্ব সেটা প্রত্যক্ষ করুক সেজন্য আমরা এটা করেছি।
নির্বাচন নিয়ে করা বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সবাই নির্বাচন দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন এবং আপনাদের বিবেক আছে। পরিস্থিতি বুঝার ক্ষমতা আছে। নির্বাচনটা কেমন হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের তীব্র বিরোধিতা ও নির্বাচন বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যেও কতটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে সেটা আপনারা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করেছেন। যা সত্য তা সব কিছুই আপনারা জানেন। আর যা কিছু মিথ্যাচার আপনারা দেখছেন। এখনো তার মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। জনগণের রায়কে অস্বীকার করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা যে কোন মূল্যে সব ধরনের সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর।