যোগ্য প্রার্থীতার বিচারে এগিয়ে অ্যাডঃ রোকেয়া বেগম

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম | 2024-01-31 23:25:00

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সংরক্ষিত নারী আসনে কারা আসবেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে জনমনে জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা তাদের সদুত্তরে বলেন এ বিষয়টি পুরোপুরি আওয়ামীলীগ নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্ভর করলেও দলীয় উপদেষ্টা ও দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থিতা যাচাই বাছাই করা হয়। এই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসাবে মনোনয়ন চান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ রোকেয়া বেগম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত ও পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী।

বাঙালী জাতির গর্ব এই নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচিতি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এদেশের সকল রাজপথের আন্দোলনের সোচ্চার কন্ঠস্বর এডঃ রোকেয়া বেগম। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে প্রভাবিত হয়ে জনগণের মুক্তি সংগ্রামের জন্য আজ অবধি লড়াই করেছেন। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি নারী উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হিসাবে একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।

ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অ্যাডঃ রোকেয়া বেগম। আইনশাস্ত্রে এল.এল.বি পাস করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে তিনি মুনসেফ পদে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। জেলা জজের পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদিকা হন। বর্তমানে একই সংগঠনের সহ-সভাপতি এর দায়িত্বপালন করেন।

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাওয়া কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ রোকেয়া বেগম বলেন, "আমি দীর্ঘ সময় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠনে স্বপদে বহাল থেকে ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। পরবর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করছি।পারিবরিকভাবে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহচর্যে থেকে দেশসেবায় ব্রত হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণার্থে আমি সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।"

অ্যাডঃ রোকেয়া বেগম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দুর্ধর্ষ গেরিলা বাহিনী, ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন। তার স্বামী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ জনাব ডাঃ এস.এম. ওয়ালীউল্লাহ যিনি ৭৫ এর শোকাবহ ১৫ই আগষ্টের পর ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হওয়ার কারণে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে বিনামুল্যে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মামলা পরিচালনা করার কারণে বহুসময় বিভিন্ন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী নেতাদের হুমকি ও নির্যাতনের স্বীকার হন রোকেয়া বেগম।

উল্লেখ্য, অ্যাডঃ রোকেয়া বেগমের পিতা মরহুম নাসির উদ্দিন খান বৃটিশ আমলে জুরিবোর্ডের সদস্য ছিলেন। তার পূরপুরুষগণ ছিলেন কনকদিয়া পরগণার জমিদার। তার পুত্র অ্যাডঃ তাজওয়ার ওয়ালী আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর