একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মহাজোট থেকে উন্মুক্ত রাখার ফলে একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মহাজোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
এ আসনটিতে ইতোমধ্যে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মহাজোটেরই তিন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে মাঠে লড়ছেন। এর হলেন- সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ডা. ইউনুস আলী সরকার (নৌকা), জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী (লাঙল) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল)।
মহাজোটের পরিচয়ে এই তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারার কারণে তারা এখন একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে ময়দানে ঘুরছেন। ফলে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মহাজোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে সাধারণ ভোটাররাও পড়েছেন বিপাকে।
শুক্রবার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর এ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। যা দেশ স্বাধীনের পর এমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি কোনো এমপি। তাই এ আসনে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী থাকলেও ভোট সমর্থনে অনেকটাই এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীক প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার।
এদিকে ডা. ইউনুস আলী সরকারকে ঠেকাতে মহাজোটের অপর দুই প্রার্থী ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটের মাঠে কেউই হাল ছাড়তে নারাজ।
অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তা প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারে মহাজোট প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। এমনটাই মন্তব্য করছেন কিছু সংখ্যাক ভোটাররা।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪১। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২ লাখ, ২৩ হাজার ৬৯৩। পলাশবাড়ী উপজেলায় ১ লাখ, ৮৮ হাজার ২৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ার কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচন স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে ইসির নির্দেশে গত ২৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা আব্দুল মতিন পুনঃতফসিল ঘোষণা করেন। এ তফসিল মোতাবেক আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।