কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই প্রথম সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির সাক্ষী হয়েছে নগরবাসী। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এত কম ভোটার উপস্থিতি আগে কখনোই দেখেননি কুমিল্লা নগরবাসী।
নির্বাচন কমিশন সূত্র ও ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিল্লা সিটিতে প্রথম ভোট হয় ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পরিচিত হয় নগরীর ভোটাররা। তখন নগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৯ জন। নির্বাচনে ২৭ টি ওয়ার্ডের ৪২১ টি ভোট কক্ষে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২ টি। এর মধ্যে সঠিক হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫২২ ভোট। সে অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল।
পরবর্তীতে নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। তখন মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সে অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এরপর নির্বাচন হয় ২০২২ সালে ১৫ জুন। তখন নগরীতে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। সে সময় ভোট প্রয়োগ করে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৬ জন ভোটার। সে অনুযায়ী ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত বছর মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যাওয়ায় তফসিল অনুযায়ী শনিবার (৯ মার্চ) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভোট পড়ে মাত্র ৩৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। বিগত নির্বাচনগুলোর চেয়ে এটিই ছিল সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৯ জন। কিন্তু ভোট প্রয়োগ করে মাত্র ৯৪ হাজার ১১৫ জন ভোটার।
ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের মনে ভোট উৎসব নেই। লম্বা কোনো লাইনও চোখে পড়ে নি। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের আধিক্য দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছিল।