৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে ফেনীর তিন উপজেলা ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভুঞা উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। তিন উপজেলায় ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন ১৬ প্রার্থী।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে তিন উপজেলার ২৮৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তারমধ্য ফেনী সদরের ১৪০ কেন্দ্র, সোনাগাজীর ৭২ কেন্দ্র এবং দাগনভুঞার ৭২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ফেনী সদরে ভোটার উপস্থিতি ভালো থাকলেও সোনাগাজী ও দাগনভুঞা উপজেলায় প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি হাতেগোনা। কয়েকজন করে ভোটার আসছেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ কেন্দ্রে ছিল না ভোটারদের চিরচেনা লাইনও।
এ দুই উপজেলার ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনের সব আয়োজন থাকলেও নেই কোনো আমেজ। এজন্য ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ আর এম হাট কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় প্রথম দেড় ঘণ্টায় পড়েছে ১৫ ভোট। অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও হাতেগোনা ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে বিপরীত চিত্র ফেনী সদর উপজেলায়। এ উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাট আবু বক্কর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ৫০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৪ জন। এতে ১৪০টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
দাগনভূঞা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ১২২ জন।উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে ৫৮২টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে সোনাগাজী উপজেলায় দুইটি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ জন।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শেষ করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।