ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেইসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বগুড়ায় নির্বাচনি প্রচারণার জন্য বরাদ্দ করা নমুনা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারের প্রতীকের অমিল থাকার অভিযোগ উত্থাপনের পর এ ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
বুধবার (২৯ মে) সকালে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অশোক কুমার জানান, নির্বাচনি প্রতীক ভুল হওয়ায় এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রতীক ভুল হওয়ায় এই নির্বাচন স্থগিত করার পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে স্থগিত বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত এই সচিব আরো বলেন, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন চলবে। স্থগিত পদে পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইফতারুল ইসলাম মামুন নামের এক প্রার্থী আইসক্রিম প্রতীকে বগুড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মামুন অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের দিন নমুনা হিসেবে ‘কাঠিওয়ালা আইসক্রিম’-এর ছবি দেওয়া হয়। সেই প্রতীক নিয়েই আমি প্রচারণা চালাই। বুধবার (২৯ মে) ভোট শুরু হওয়ার পর দেখলাম, ব্যালটে বরাদ্দ প্রতীকের সঙ্গে মিল নেই।
সেখানে ফুলের মতো দেখতে ‘কুলফি আইসক্রিম’-এর ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটাররা যে প্রতীক দেখে ভোট কেন্দ্রে গেছেন, ব্যালটে সেই প্রতীকের ছবি খুঁজে পাননি। যারা লেখাপড়া জানেন না, তারা তো নাম পড়তে পারেন না, প্রতীক দেখে ভোট দেন। কিন্তু ব্যালটে তারা আমার প্রতীক চিনতে পারছেন না। আমি নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করতে গিয়েও কাউকে পাচ্ছি না।
বগুড়ার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ এ বিষয়ে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে অতিরিক্ত তিনটা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শুধু ‘আইসক্রিম’ প্রতীকের নাম ছিল। কিন্তু নমুনা ছবি ছিল না। এ কারণে সচরাচর যে আইসক্রিম প্রতীক দেওয়া হয়, সেই ছবি দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে, ‘কুলফি আইসক্রিম’-এর ছবি। যেহেতু দুটিই আইসক্রিম তাই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রার্থী নির্বাচন অফিসে এসেছেন। তার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।
এরপরেই বগুড়ার সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।