ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফেনীর তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের দিন ভোটারশূন্য সোনাগাজীর অধিকাংশ কেন্দ্র।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুজাপুর আর এম হাট কে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি বুথে দেড় ঘণ্টায় একটিও ভোট পড়েনি।
কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, ভোটার না থাকায় ওই কেন্দ্রে অলস সময় পার করছেন ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। কেন্দ্রটিতে মোট ১০টি বুথের মধ্যে দেড় ঘণ্টায় ৭টি বুথে ১৫টি ভোট পড়েছে।
সোনাগাজী সুজাপুর আর এম হাট কে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আবু সায়েম বলেন, এখানে মোট ভোটার ৪ হাজার ১শ ৫৫ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষদের জন্য ৬টি ও নারীদের জন্য ৪টি বুথ করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি কম। তবে বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করি।
এদিকে, সোনাগাজী বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫৫টি ভোট এবং বেলা ১১টা পর্যন্ত ১শ ২টি ভোট পড়েছে। এসব কেন্দ্রের মতো প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে, অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সোনাগাজীর বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনের সব আয়োজন থাকলেও নেই কোনো আমেজ। এজন্য ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা বলেন, আজকে যে ভোট, সে আমেজও নেই। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত।
নির্বাচনে সোনাগাজী উপজেলায় দুটি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ ৮৮ জন। উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে ৫শ ৭৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শেষ করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে।
নির্বাচনে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।