বাংলাদেশি সৌদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সহজ করতে সেই দেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে চলতি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম চালু করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসীদের এনআইডি সেবাটি উদ্বোধন করতে দেশটিতে যাবেন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। এজন্য আগামী ২০ থেকে ২৯ জুলাই সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা।
ইসির চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স শাখার উপ-সচিব মো. আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা গেছে, পুরো সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতঃমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবেও কার্যক্রমটির উদ্বোধন করা হবে।
পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সেবা ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিংগাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ ও কানাডাতে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।
সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।