৯ম শ্রেণির সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ধরা খেলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী

বিবিধ, নির্বাচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-19 06:42:08

১ম শ্রেণী বা ২য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। এটা কেমনে দেখাবেন হলফনামায়। তাই তিনি নবম শ্রেণী পাশের সনদ জমা দিলেন। এবং হলফনামায় দেখালেন নবম পাশ। সার্টিফিকেটও ম্যানেজ করে নিয়েছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত পার পাননি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদপ্রার্থী খাদিজা বেগম। তিনি সিলেট কানাইঘাট উপজেলা পরিষদে প্রার্থী হয়েছিলেন।

হলফনামা ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা যায়, কানাইঘাট উপজেলার বীরদল গ্রামের সঞ্জা মিয়ার মেয়ে এবং পৌরসভার মহেষপুর গ্রামের সেলিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম নবম শ্রেণি পাশ দেখালেন বীরদল এনএম একাডেমি থেকে। খাদিজা এমন সময় নবম শ্রেণি পাশ দেখালেন যখন জেসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।

বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সন্দেহের সৃষ্টি করে। রিটার্নিং কর্মকর্তা খাদিজা বেগমকে বললেন, 'আপনি জেএসসির সনদ দিয়ে দেন। তাহলে নবম শ্রেণির সনদ না দিলেও চলবে।'

তখন তিনি জানান, তিনি জেএসসি পাশ করেননি। এভাবেই সনদ জালিয়াতিতে ধরা পড়লেন খাদিজা। এরপর কেবল নির্বাচনের আইন অনুযায়ী তার নমিনেশন বাতিল হয়নি প্রচলিত আইন অনুযায়ী ৪২০ ধারায় তার সাজার হুমকিতেও রয়েছেন এই প্রার্থী।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, 'যদি আপিলে ওই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ না হয় তবে এ পদটি শূন্য বলে বিবেচিত হবে। পরবর্তীতে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে এ পদে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন।'

বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল হলে প্রার্থী এর বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। খাদিজা বেগম জানান, তিনি আপিল করবেন এবং ভুল তথ্য সংশোধন করে নেবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর