উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 07:53:29

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড, আর্মড পুলিশকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পার্বত্য ও বিশেষ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সে হিসেবে ৬ হাজার ২১৯ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন প্রায় ৯৩ হাজারের বেশি। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড, পুলিশ, আমর্ড পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

প্রথম ধাপে ৮৩ উপজেলা পরিষদে ভোট হবে। এসব উপজেলায় মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছয় হাজার ২১৯টি আর ভোটকক্ষ ও ৩৯ হাজার ১৫৯টি। সে হিসেবে সে হিসেবে ৬ হাজার ২১৯ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন প্রায় ৯৩ হাজারের বেশি। এর সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকা বিজিবি ও র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলায় থাকবেন প্রায় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রথম পর্বের ভোটের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। নির্বাচনের দিন, আগে ও পরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রের জন্য সশস্ত্র ও লাঠিধারিসহ ১৪ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্র ১৬ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক একদিনসহ মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত আনসাররা প্রশিক্ষণের জন্য একদিন বেশি নিয়োজিত থাকবে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট: আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ভোটগ্রহণের তিনদিন পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলায় একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধে ভোটগ্রহণের তিনদিন পূর্ব হতে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রতিটি টিমে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।

নির্বাচনী অপরাধসমূহ বিচারের জন্য আমলে নেওয়া এবং সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী সাত দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী সাতদিন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ভোটে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মহাপরিচালক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, আগামি ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ভোটার এক কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার পাঁচ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৪ জন। আর নারী ভোটার ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭১ জন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর