ভোটের আগে গ্রেফতার না, ইসির আশ্বাস: খসরু

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 21:12:27

আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান অপরাধ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

গ্রেফতার প্রসঙ্গে ইসি কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের অভিযান, ভয়ভীতি সৃষ্টি, এজেন্টদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন বড় সমস্যা, তাদের বিরত রাখতে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। তারা বলেছেন, এগুলো হবে না। নেতাকর্মীদের যে গ্রেফতার করা হয় তারা আশ্বাস দিয়েছেন অপরাধ দৃশ্যমান না হলে বা মার্ডার না হলে গ্রেফতার বন্ধ থাকবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের অভিযান, ভয়ভীতি সৃষ্টি, এজেন্টদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন বড় সমস্যা; তাদের বিরত রাখার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কমিশন।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে ভোটার ও প্রার্থীবিহীন ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট চুরি হয়েছে। এখন নতুন পদ্ধতি হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। ইভিএম হচ্ছে নীরবে, নিঃশব্দ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির প্রকল্প।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘আমার টেকনিক্যাল টিম নিয়ে এসে একটি মেশিন হয়তো পরীক্ষা করলাম। সেটা ভাল জেনে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরলাম। কিন্তু ভোটের আগে হাজার হাজার মেশিনকে পরীক্ষা করবে।’

পৃথিবীর দুই শত দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই চারটি দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোনটাই বিতর্কিত নয়। বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটি বিতর্কিত। ফলে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইভিএম অন্তরায়।

তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলের একটি নতুন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো ইভিএম। এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটচুরির যে প্রক্রিয়ায় সেটা হলো একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোটচুরির একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই না। নির্বাচনের ফলাফল কি হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএমের প্রোগ্রামের ওপর। জনগণ যে ভোট দেবে সে ভোটটা কাকে দেবে তার পেপার ট্রেইল নাই। এটা না থাকার কারণে ইভিএমের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জামিলুর রেজা চৌধুরী এই প্রকল্পে সই করেননি। ফলে সেখানে ভেরিফাই বা পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নাই। তারপরও নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ইভিএমে গেছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের একজন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ তাকে মুন্সিগঞ্জের আলু ক্ষেতে পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত নারী আসনের আমাদের এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। অভিযানের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক, এজেন্টদের হয়রানি করা হয়। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এই ধরনের অভিযান এবার হবে না।

আসন্ন দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল চারটায় শুরু হওয়া কমিশনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত। এ সময় ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদের বৈঠক

বিএনপি'র ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও বিএনপি'র যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কবিতা খানম ও রফিকুল ইসলাম উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও দুই সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর