আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি তদন্তে।
গত ৪ জানুয়ারি বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের সঙ্গে তাবিথ সেদিন আতিকুল ইসলামের প্রচারণার ছবিও জমা দেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাইবুর রহমান আশিককে ঘটনাটি তদন্ত করে ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
সে অনুযায়ী তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আজ প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, যে চারটি ছবি অভিযোগের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে দুইটি ছবিতে তারিখ ও সময় দেওয়া ছিল, সেখানে আতিকুল ইসলামকে দেখা যায়নি। যেগুলোতে তারিখ নেই সেই গোল চিহ্ন দেওয়া ছবিতে আতিকুল ইসলামকে দেখা গেছে। সেখানে অভিযোগে উল্লেখিত স্থানে দোকান ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গুলশান পার্ক এলাকায় ৯টা পর্যন্ত মিছিল-মিটিং সংগঠিত হয়নি। চারজন ব্যক্তির লিখিত বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে। ফলে তাবিথ আউয়ালের অভিযোগটি সত্য নয় মর্মে প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দিয়েছেন সেটির সত্যতা মেলেনি। অভিযোগটি তদন্ত করেছেন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক। তিনি ঘটনাস্থলে চারজনের লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে অভিযোগে উল্লেখিত সময়ে সেখানে কোন মিছিল-মিটিং বা প্রচারণার তথ্য পাননি।
তাবিথ তার লিখিত অভিযোগে বলেছিলেন, ‘আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮ থেকে ৯ টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে গুলশান-১ এলাকার গুলশান পার্কে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনী মঞ্চ করে, মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নিজের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন ও কর্মীদেরকে ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন, যা সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন ও গর্হিত অপরাধ বটে।