আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় শেষে প্রচারণা শুরু করেন ডিএসসিসির বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
এ সময় ইশরাক সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তারা ভোটারদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীর্ষে একটি ভোট দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
প্রচারণার শুরুতে ইশরাককে পরিচয় করিয়ে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। বিএনপি এ নির্বাচনকে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে বলে জানান ফখরুল। বলেছেন, এ নির্বাচনকে আমরা গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ আন্দোলন শুরু করলাম। আজ থেকে আমাদের নতুন আন্দোলন শুরু হলো। এ আন্দোলন হচ্ছে জনগণ, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন। এ আন্দোলনে আমাদের মার্কা ধানের শীষ।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, আমি ধানের শীষের প্রার্থী। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেছি, খালেদা জিয়া আমাদের মা, তার মুক্তির আন্দোলন আমরা শুরু করেছি। গণতন্ত্র মুক্ত করার আন্দোলন শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ আমরা বিজয়ী হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।
পরে একটি মিছিল বাইতুল মোকাররম থেকে শুরু করে পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, মতিঝিল হয়ে ইত্তেফাক মোড়ের দিকে যায়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন, তারেক রহমানের নামে স্লোগান দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পান ইশরাক হোসেন। এরপর তিনি জুরাইনে তার বাবা অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি সুরা ফাতেহা পাঠ করেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে একটি মেরুদণ্ডহীন, দন্তহীন বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন।