আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় অনেকে আইন না জানায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।
গত দুইদিন নির্বাচনী প্রচারে উত্তেজনা, হামলার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে কমিশনের কোনো কড়াকড়ি নির্দেশনা থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কড়াকড়ি নির্দেশনা আগেই দিয়ে রেখেছে। কমিশনের নির্দেশে আমি নিজেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। বলা হয়েছে, সব প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার কাজ করতে পারে। কাজে যাতে বাধা না দেয়। এরপরও যদি আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসে, আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করছে। তদন্তে যে রিপোর্ট আসবে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
একজন নির্বাচন কমিশনার এমপিদের আচরণবিধি যথাযথ পালনে পরিপত্র জারির বিষয়ে ইউনোট দিয়েছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে এখনও এ চিঠি আসেনি। সব দলের সঙ্গে কমিশনের মিটিং হয়েছে। কমিশন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোনো মন্ত্রী- এমপি, মেয়র তারা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। তারপর তেমন কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। তারপরেও কেউ না জেনে করে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের আমরা একটি আচরণ বিধি দিয়ে দেই, তবে অনেকে সেটা পড়েন না। সে কারণে সমস্যাটি হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি মন্ত্রীদের প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, আশাকরি আগামীকাল থেকে এমন কোন বিষয় ঘটবে না। অনেকে না জেনে বিধি লঙ্ঘন করেন, আপনাদের মাধ্যমে তাদের জানিয়ে দিচ্ছি এটা করা যাবে না।