আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত কমিশন অবশ্যই মেনে নেবে: সচিব

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 05:48:54

সরস্বতী পূজার কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে রায় আসবে কমিশন তা অবশ্য‌ই মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সব সময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কোন আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেয় সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে। আমরা আশা করব হাইকোর্ট যেসকল যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন তারা নিশ্চয়ই যুক্তি শুনবেন, তারপরও তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আদালতের রায়ের পরে আন্দোলন করছে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। শিক্ষার্থীদের  অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই পারেন কারণ তাদের তো বয়স কম। আমার ধারনা তাদের এই ভুলটা কেটে যাবে এবং তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

তিনি বলেন, ১ তারিখ এসএসসি পরীক্ষা, মার্চ স্বাধীনতার মাস, তারপর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী পালনের নানা রকম প্রোগ্রাম অছে। এরপর এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, মে মাসে নির্বাচনের যত তারিখ আছে তা কোন ভাবেই করা সম্ভব না। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে, প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবে। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবে। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সচিব বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা করত। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম কোন সমস্যা ছিল না। এখন সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেয়ায় সেদিন ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর