ইভিএমের মাধ্যমে কখনো জনগণের রায় প্রকাশিত হবে না
ইভিএমের মাধ্যমে কখনো জনগণের রায় প্রকাশিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে ডাকাতি করে নিয়েছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনেও একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। অযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়। তাদের সেই যোগ্যতা নেই। তারা যে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে, সেটি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার আরেকটি অপকৌশল। জনগণের রায় কখনো ইভিএমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আজ যখন আমরা তার জন্মদিন উদযাপন করছি, তখন আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী তাকে আটক করে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, হত্যা ও গুম করা হয়েছে। দেশকে একটা অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এ দিনে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমরা দেশের গণতন্ত্র মুক্ত করব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী তার ১৯ দফাকে বাস্তবায়িত করব।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব দলের সমান সুযোগ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরগুলো সংকুচিত করে ফেলছে। স্পেইজগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ, অযোগ্য, তারা যে নির্বাচন পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে না, তার প্রমাণ হলো। তারা এমন একটা দিনে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছিল, যেদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় পূজা। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, যেখানে এসব পূজা হয়, ঠিক সেখানেই নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো। ফলে সেখানে অবশ্য একটা সমস্যা তৈরি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিস) নির্বাচনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।