শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের বিষয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ৫৮তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শূন্য হওয়া পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন ও চসিক নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা-১০, বগুড়া-১, বাগেরহাট-৪, যশোর-৬ ও গাইবান্ধা-৩ এই আসনগুলো শূন্য হওয়ায় কবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা কখন হবে, ইসলামী পর্ব যেগুলো রয়েছে, স্বাধীনতা দিবস, মুজিব বর্ষ এসব মাথায় রেখে আলোচনা হয়েছে। তবে কখন হবে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ২৮ তারিখ কমিশনের সভা হবে, সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও সেদিন সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ যেটা আছে সেটি ইংরেজিতে। এটিকে বাংলায় করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি এটা দেখে শুনে চূড়ান্ত করেছে। কমিশন আজ তা অনুমোদন দিয়েছে। আমরা ইসি সচিবালয় থেকে এটিকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবো বাংলায় আইন করার জন্য।
ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছরের জানুয়ারির ৩১ তারিখ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এবার কাজের চাপ বেশি থাকায় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট থাকায় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য একটি আইন আমরা প্রস্তাব করেছি, যেটি এখন সংসদে আছে। বিষয়টি অগ্রগতি কতটুকু তারা তা জানতে চেয়েছেন। দুএকদিনের মধ্যে এটি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপিত হবে।
সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান।