তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চাইলেন শামসুদ্দিন মানিক

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 04:56:37

ঢাকা উত্ত‌র‌ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএন‌পির মেয়র প্রার্থী তা‌বিথ আউয়া‌লের ‌বিরু‌দ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তু‌লে প্রার্থিতা বা‌তিল চাই‌লেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপ‌তি শামসুদ্দিন মা‌নিক।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ৩টায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে এন এফ এম প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানা থাকলেও হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন তাবিথ আউয়াল। তাই আইনত তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। শিগগিরই রিট করা হবে।

আপনি কেন এ অভিযোগ করলেন, জানতে চাইলে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে করেছি এটা। আমার বিবেকে লেগেছে। আমি দেশের একজন নাগরিক। বিষয়টি যখন আমার চোখে এসেছে…। দেশকে যারা ভালোবাসে, তারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে। এর সঙ্গে গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যৎ জড়িত।

নির্বাচন ভবনে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানির তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী। এ কোম্পানির মূল্য দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে। এটা বিশ্বের যে কোনো দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এ কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে, তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ দেখাননি।
যে ডকুমেন্টগুলো দিয়েছি, এগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, এগুলো সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছে। প্রতিটি ডকুমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, এটি সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, যোগ করেন তিনি। গত দুই দিন আগে ডকুমেন্টগুলো পেয়েছেন বলে জানান সাবেক বিচারপতি মানিক।

মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন কমিশনের কিছু করার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ। কমিশনকে দিয়েছি, তারা এখন বিবেচনা করবে। সব কাগজপত্রই দিয়েছি। এক্ষেত্রে আইন তো পরিষ্কার যে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য। এখন সময় কম।

মানিক বলেন, তাবিথের মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে, সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যান, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরেই এ প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন করে নির্বাচন হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর