অবশ্যই আমি মামলা করব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের এতগুলো মানুষ আহত হয়েছে, গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছে, মামলা তো করবোই বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় কোনো মামলা করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দুপুর পৌনে একটার দিকে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গণসংযোগ চালানোর সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন- নৌকা ও ধানের শীষ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
ইশরাক বলেন, তারা হামলা করে আমাদের ওপর দায় দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার। আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা শান্ত থাকবেন, বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা শুধু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ভয়-ভীতি দেখানো আর ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
এই হামলা পরবর্তীতে দিনে নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো শঙ্কা বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, একদমই না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এর আগেও আমি বলেছি। আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। কারণ আমরা জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে আছি। সেটার জন্য এই গুলির শব্দে আমি ভয় পাই না। কোনো হামলা ভয় পাইনা, আমি থাকবো। মরতে হলে আমি মরবো। আবারও বলছি সন্ত্রাসী মারতে আসলে আমি মাঠ ছেড়ে দেবো না।
ইশরাক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় আসছিলাম। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের লাভলী চৌধুরী ক্যাম্প থেকে আমাদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন সাংবাদিক ও ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন। আমার ওপরে হামলার আশঙ্কা ছিল।
একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে যে ধরনের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা আপনি সে ধরনের পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক হোসেন জানান, কোন ধরনের নিরাপত্তা পাননি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে পুলিশ এসেছেন। এর আগেও আমি আপনাদের বলেছি থানায় কিছু কিছু কর্মকর্তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। কামরাঙ্গীরচরে আজকের মতো এরকম একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। সেখানে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ারী থানায় ন্যাক্কারজনকভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই থানার কর্মকর্তা একেবারেই দায়সারা তিনি কোনকিছুর পরোয়া করেন না। এখানে আমরা একটা ডিফরেন্স দেখতে পাচ্ছি।