নির্বাচিত হতে পারলে নগরবাসীকে সুসংহত সেবা দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হটলাইন সেবা থাকবে। পাঁচ কার্যদিবসের দুইদিন মেয়রের সঙ্গে নগরবাসী সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ থাকবে এবং দুইদিন মেয়র সরাসরি নগরবাসীর কাছে যাবেন। যদি হটলাইন ও নগর ভবনে বসে কোনো সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে প্রয়োজনে নগরবাসীর যত কাছে গিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায় সেই ব্যবস্থাই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নৌকা প্রতীকের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সবুজবাগ এলাকায় গণসংযোগে আসেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় গণসংযোগে যোগ দেন স্থানীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সকল সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি গোপীবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপরে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী, নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। সেখানে স্বয়ং ধানের শীষের প্রার্থীর হাতে অস্ত্র ছিল। যা সম্পূর্ণ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন তো বটেই আইনেরও খেলাপ।
এমন ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তাপস বলেন, শুরু থেকেই লক্ষ্য করছিলাম কোনোভাবেই যেন নির্বাচনটা না হয় সেজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে যত ধরনের চেষ্টা ছিল তা তারা চালিয়ে আসছে। শুরু থেকেই তাদের প্রচারণায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দেখা গেছে। এ ব্যাপারে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ প্রদান করা হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে।
বিএনপি প্রার্থীর হাতে অস্ত্র ছিল এমন অভিযোগ যেহেতু আসছে সেহেতু বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করার দাবি জানাবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শেখ তাপস বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও প্রচলিত আইনে যে ব্যবস্থাই হোক সেটা নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।