আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মক ভোটের দিনসহ তিনদিন কেন্দ্রের চিত্র ধারণ করা হবে।
জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. আশরাফ হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ এ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য ভোটকেন্দ্র হিসেবে যে সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করা হয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সিসি ক্যামেরা মক ভোটিংয়ের দিন, নির্বাচনের পূর্বের দিন ও নির্বাচনের দিন ব্যবহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।'
'তবে শর্ত থাকে যে, ভোট গ্রহণের দিন গোপন কক্ষের কোনো দৃশ্য সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে না।'
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, 'ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সিসি ক্যামেরার সংখ্যাসহ বিরিত তথ্য সংগ্রহ করে বিদ্যমান সিসি ক্যামেরা মক ভোটিংয়ের দিন, নির্বাচনের পূর্বের দিন ও নির্বাচনের দিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে সার্বিক সমন্বয় ও সহায়তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।
এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন এক-এগার সরকারের সময়কার নির্বাচন কমিশন দেশে প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্র সিটি টিভির আওতায় আনে। সীমিত আকারে সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনের ব্যবহারে সুফল পেয়েছিল কমিশন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা কিনে নিয়েছিল ইসি। এছাড়াও ওই কমিশন স্কাইপির মাধ্যমে সরাসরি অনলাইনে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল।
এরপর ২০১২ সালের কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেত্বাতাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব উদ্যোগ আর ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। লোকবলের অভাব দেখিয়ে তারা উদ্যোগ দু'টো থেকে সরে আসে।
দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময় পর কেএম নূরুল হুদা কমিশন ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে পুনরায় সিসি টিভির ব্যবহারের দিকে যাচ্ছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মক ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সিসি টিভির আওতায় থাকবে ভোটকেন্দ্রগুলো।
উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৩১৮ এবং মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৮৪৬টি। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৫০ এবং মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৫৮৮টি।