ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হওয়া সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন আশরাফুল ইসলামকে তার মগবাজারের বাসায় দেখতে যান ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাকে দেখতে যান ইশরাক।
গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে গণসংযোগ চলাকালীন ইশরাক হোসেন ও নৌকার প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিন সাংবাদিকসহ দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
ওই দিনের ঘটনার বিষয় আপনার জায়গা থেকে কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ওই দিনের ঘটনাটা গণমাধ্যমসহ সবাই দেখেছেন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র পক্ষ থেকে তাদেরকে সান্ত্বনা জানাতে এসেছি।
তিনি বলেন, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন আশরাফুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিলাম এবং আহত আরেকজন সাংবাদিক নয়া দিগন্তের তৌহিদ সাহেব ওনাকেও আমরা দেখেছি। উনিও গুরুতর আহত হয়েছেন। আর সার্বিক পরিস্থিতি হচ্ছে সেদিন সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর বড় বড় ইট নিক্ষেপ করা হয়। এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
ইশরাক বলেন, একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। শেষ দিকে এসে এরকম ঘটনা ঘটানোর দরকার ছিল না। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের যারা আহত তাদেরকে উল্টো আসামি করে আবার একটি মামলা করা হয়েছে। ওয়ারী থানার কতিপয় কিছু কর্মকর্তা একেবারে সরকার দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছে। আমাদের ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবি অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের ২৫ জন নেতাকর্মীর জামিন হয়েছে। আরও যারা আছেন তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইশরাক বলেন, সবচেয়ে খারাপ লাগে ওভারঅল গত জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রশাসনের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পেয়েছি এখন সেটা পাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা পুরো প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন। বিশেষ করে ওয়ারী থানায় যারা আছেন।