নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে পুরো পরিবার নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক।
তিনি বলেন, উনারা আমার রক্তের ভাই-বোন আর ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা আপনারা হচ্ছেন আমার আত্মার ভাই-বোন। এই রক্তের ভাই-বোন আর আত্মার ভাই-বোন এক হয়ে এগিয়ে এসেছে, জয় সুনিশ্চিত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশান-১ এলাকার ফজলে রাব্বী পার্কে পথসভায় তিনি একথা বলেন। এসময় ভাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম, বোন হালিমা নাহার, আমিনা নাহার এবং রহিমা নাহার, ভাগ্নে তানভীর সিদ্দিকী, সহধর্মীনি ডা. শায়লা সাগুফতা ইসলাম ও একমাত্র কন্যা বুশরা আফরিন উপস্থিত ছিলেন।
আতিক বলেন, আজ আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। এখানে আমার বড় ভাই, বোন, ভাগনে, ভাগনি, নাতি-নাতনিসহ আমার স্ত্রী-মেয়ে সকলেই এসেছে। আপনাদের কাছে ভোট চাইতে। এরা আমার রক্তের ভাই-বোন, আর আপনারা হচ্ছেন আমার আত্মার ভাই-বোন।
তিনি বলেন, এই ভাই-বোনদের ভালোবাসায় আমি এগিয়ে যাই। আমার রক্তের ভাই-বোন আর আত্মার ভাই-বোন যেভাবে এক হয়ে এগিয়ে এসেছে জয় সুনিশ্চিত। আমরা ১১ ভাই-বোন, আমাদের পরিবারেই ৩-৪ হাজার ভোট আছে। এই পরিবার আমাকে দিয়েছে গার্মেন্টসের দায়িত্ব। এই পরিবার এখন আমার পাশে আছে। আপনারা আত্মার-ভাই বোনও আছেন। আপনাদের ভালোবাসায় বিজয় সুনিশ্চিত।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেখে-শুনে ভোট দেবেন। গত ৯ মাসের কঠিন অনুশীলন করেছি, সেই অনুশীলনকে কাজে লাগিয়ে আমি সুস্থ, সচল আধুনিক ঢাকা গড়ব। আর বিজয়ী হলে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখব। নৌকা দিয়েছে স্বাধীনতা, নৌকা দেবে আধুনিক ঢাকা।
সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় কর্মী সমর্থকরা ছাতা মাথায় নিয়ে ফজলে রাব্বী পার্কে অবস্থান নেয়। এরপর আতিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা একে একে সভামঞ্চের দিকে আসেন। তারা কেউ ছাতা কেউ পোস্টার মাথার ওপর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পথসভা শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নিকেতনের দিকে যান আতিকুল ইসলাম ও তার বহর। এসময় পুরো রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে আতিকের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির ও একই ওয়ার্ডের ফারুক হোসাইন ভূইয়ার সমর্থকদের মধ্যে মারপিট হয়। নাছিরের সমর্থকরা ফারুকের সমর্থকদের পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন।