নির্বাচনের আগে 'মক ভোট' দিলেন ভোটাররা

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 03:27:15

ভোটের দুই দিন আগেই খোলা মাঠে ভোট কেন্দ্র বানিয়ে ইভিএমে মক ভোট প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। সকল আয়োজন করে কর্মকর্তারা বসে আছেন ভোটারের অপেক্ষায়।

ভোট কেন্দ্রে আসেন ভোটার। ইভিএম মেশিনে হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিলেন, সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের ছবিসহ সকল তথ্য মেশিনের মনিটরে ভেসে ওঠে। ভোটারের সকল তথ্য উপস্থিত কর্মকর্তারা দেখলেন। তারপর ভোটার চলে যান ভোট দিতে। সেখানে ভোট কাস্টিংয়ের জন্য তিনটি মেশিনের একটি প্যানেল রয়েছে। একটি মেয়র প্রার্থীদের জন্য, একটি সাধারণ কাউন্সিলরদের জন্য, আরেকটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের জন্য। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে এক এক করে ভোট দিয়ে বেরিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ইভিএমে মক ভোটের আয়োজন করা হয়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে এই মক ভোটের আয়োজন করা হয়।

মক ভোটে ভোটারের অপেক্ষায় কর্মকর্তারা

সরেজমিনে দেখা যায়, এক জন্য ভোট প্রদান করে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যায়। বাইরে থেকে ঘোরাফেরা করে আবারো ভোট দিতে আসেন। মেশিনে আঙুলের ছাপ দিতেই ভেসে ওঠে ইতিপূর্বে আপনার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তারা উক্ত ভোটারকে বলেন ইতিপূর্বে আপনার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আপনি দ্বিতীয় বার ভোট দিতে পারবেন না। তার মানে কোনো ভোটার চাইলেও দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবেন না।

ইভিএম মেশিনে হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিলে সকল তথ্য মেশিনের মনিটরে ভেসে ওঠে

মোহাম্মদ আলী 'মক ভোট' দিতে এসেছেন। ভোট দেওয়া শেষে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপির একটা সিস্টেম ছিল। ইভিএম যেহেতু মেশিন পদ্ধতি সেহেতু মেশিনের প্রোগ্রামে কোনো ঝামেলা না থাকলে ভোট কারচুপি করার কোনো সিস্টেম নাই। সফটওয়্যার মানুষের তৈরি, সফটওয়্যারে তথ্যের অনেক গরমিল করা যায়। সফটওয়্যারে যদি কোনো কারচুপি না হয়, তাহলে ইভিএম একটি খুবই ভাল পদ্ধতি।

ইভিএমে মক ভোট দিচ্ছেন ভোটার

আরমান হোসেন নামের আরেক ভোটার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইভিএমে একজন ভোটার দুইবার ভোট দিতে পারবে না। আমি পরীক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। মেশিনে আঙ্গুল দেওয়ার সাথে সাথে মেশিনের দেখিয়েছে যে আমি ইতিপূর্বেই ভোট প্রদান করেছি। যার কারণে ভোট দ্বিতীয়বার প্রদান করা সম্ভব না।

সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, ভোটকেন্দ্রে যখন ভোটার আসবেন, সাথে করে ভোটার নাম্বার নিয়ে আসবে না হয় আইডি নাম্বার নিয়ে আসবে, অথবা স্মার্ট কার্ড নিয়ে আসবে। যদি ভোটার আইডি নাম্বার নিয়ে আসে তাহলে আমরা নাম্বারগুলো এন্ট্রি করে অনুসন্ধানে দেব তখন তার সকল তথ্য চলে আসলে আমরা নিশ্চিত করে ভোট প্রদানের জন্য পাঠাবো। স্মার্ট কার্ড নিয়ে আসলে আমরা স্মার্ট কার্ড মেশিনে দিয়ে অনুসন্ধানে দিলে ভোটারের সকল তথ্য চলে আসবে। তথ্য না মিললে কেউ ভোট দিতে পারবেন না। এখানে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়ার সুযোগও থাকছে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর