বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাজারো নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সেহেতু অনির্বাচিত দখলদারি সরকার এবং অযোগ্য নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জনগণের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা এবং উদাসীনতায় ও সরকারের নির্দেশে কাজ করার কারণে এই নির্বাচনও দলীয়করণ করা হয়েছে-যা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, হাজারো নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদ্বয় ক্রমাগত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছে, রঙিন পোস্টার, বিরোধী দলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, ফুটপাথের ওপর নির্বাচনী অফিস নির্মাণ, পুলিশ কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উস্কানিমূলক বক্তব্য, নির্বাচনের পরিবেশকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিকে নিয়ে গেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। হাজারো মানুষ দখলদারি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের রায় প্রদান করার জন্য যখন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, তখনই নিয়ন্ত্রিত পুলিশ বাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার করে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট প্রদান করুন, আপনাদের নিজস্ব অধিকারকে নিশ্চিত করুন। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসুন আমরা সকল অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস ও ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমরা আমাদের মতামত প্রদান করি। নিরাপদ, বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে তুলি। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করি।