অবৈধভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিলে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমন্বয়ের জন্য গঠিত মনিটরিং সেলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা, ইভিএমসহ সব শেষ প্রস্তুতির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কনফিউশন থাকে। প্রিজাইডিং অফিসার অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসফিসার ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করার পরও ভোট দিতে পারবে না, তিনি শুধু সমস্যা চিহ্নিত করার পর ব্যালট ওপেন করে দিতে পারবেন। কারণ তার দায়িত্ব কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনা করা। তবে যাদের সমস্যা তাদের জন্য বলেছি তারা ১ শতাংশ ভোটারের সহযোগিতা করার জন্য ব্যালট ওপেন করে ভোটারকে ভোটের অনুমতি দিতে পারবে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ অবৈধভাবে কারো ভোট দিতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা থাকবে। কারণ যাদের ভোটের জন্য অফিসার ব্যালট ওপেন করে ভোটের অনুমতি দেবেন তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্যাপচার করে রাখা হবে। পরে আমরা এটা চেক করব, ভার্চুয়াল চেকিংয়ের পর মূল সার্ভারের সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখব। কেউ অবৈধভাবে ভোট দিয়েছে প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। বৈধ ভোটারকে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করার জন্য কমিশন বদ্ধ পরিকর। আমরা প্রমাণ করতে চাই। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম।
ভোটার চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি চিহ্নিত করার জন্য তার এনআইডি নম্বর দিলে তাকে চিহ্নিত করতে পারব। স্মার্ট কার্ড নিয়ে আসলেও ভোটারকে শনাক্ত করতে পারব। পোলিংদের সামনে শানাক্তের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে। তবে কোন ভোটারের কাছে যদি কিছুই না থাকে সে ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা দেখে নম্বর দিলে কন্ট্রোল ইউনিটে তথ্য বের হবে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ম অনুসরণ করে ১ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ওপেন করতে পারবেন প্রিজাইডিং অথবা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। এর বেশি লাগলে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেখেবে। প্রয়োজনে এরপর ইসির মাধ্যমে সমাধান করতে পারবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব। ভোটকক্ষ চিহ্নিত করে ভোটের জন্য উপযোগী করতে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।