আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সময় এজেন্টদের শেল্টার দেওয়ার জন্য বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, `আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সময় এজেন্টদের শেল্টার দিতে বলেছি। যখনই তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকবে, তখনই তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব কিন্তু যারা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। এজেন্ট কাউকে না জানিয়ে অনেক সময় বের হয়ে যায়, তখন বলে যে আমাদের এজেন্ট নেই। এমন হলে তো হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি থাকে, যদি না শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন। আমাদের পর্যন্ত আসার দরকার নাই।'
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এজেন্টদের প্রতি প্রথম অনুরোধ, তারা যেন দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। কেউ এসে বললো আর বের হয়ে যাবেন, তা যেন না করেন। এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যদিও নাই, তবুও যদি ঘটে টহলদার বাহিনী থাকবে, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, তাদের বলবেন। সুতরাং এটার কোনো সম্ভাবনা নাই।’
তিনি বলেন, `আশা করি ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ঢাকার দুই সিটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। কোথাও কোনো অসুবিধা নেই। ভোটাররা নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করবেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, `সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, নির্বাচনের সামগ্রী বিতরণ দেখেছি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো অসুবিধা নেই। মালামাল পৌঁছে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলে যার যার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সব ধরনের বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। তারা তাদের কাজ পরিচালনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে অবাধে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের কোনো অসুবিধা নেই। প্রচারের সময় যেভাবে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন, ভোটার সমর্থকরা যেভাবে রাস্তায় নেমেছে এসেছে, ওটা একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সব দল অংশ নিয়েছে। ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে পরিবেশ সুন্দর হয়।'
ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট ওপেন করার পর ব্যালট ইউনিটে একজনের ভোট আরেকজন নির্দিষ্ট প্রতীকে মারতে পারে কিনা এমন বিষয় জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘না না, তা মারতে পারে না। বুথের মধ্যে একজনেরটা আরেকজন দিতে পারে। কিন্তু কে সেটা? যদি সে ভোটার অন্ধ হয়, যদি সে ভোটার অক্ষম হয়, যার হাত ব্যবহার করতে পারে না তাদের জন্য। আগে যে নিয়ম ছিল সেটাই রাখা হয়েছে। মা যদি অন্ধ হয়, তবে ছেলে যাবে, কিন্তু ব্যবহার হবে মায়ের আঙ্গুলের ছাপ, তার ভোটই ওপেন হবে, সেটাতেই ভোট দিতে হবে।'
বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা প্রচার করেছে, মিছিল করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়েছে, কোথায় তাদের বাধা দিয়েছে। এটা ঠিক না।'