ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করতে বের হন তিনি।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, নারিন্দা মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বামীবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করাতি টোলা সি.এম.এস মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রায়ের বাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টকে কেন্দ্রে পাননি ইশরাক। কোথাও মারধর করে, কোথাও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রে যেয়ে নিজেদের এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করান ইশরাক হোসেন। ইশরাক হোসেন কেন্দ্রে পৌঁছালে ভোটাদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ইশরাক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও জোর-জবরদস্তি করে আমাদের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও এজেন্টের এই ভুল-সেই ভুল বলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ থাকা যাবে না বলে এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অথচ মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ এজেন্ট থাকতে পারবে।
আমি প্রত্যেক জায়গায় যেয়ে এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৬ হাজার এজেন্ট রয়েছে, সাড়ে ১১শত কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমি একা কতগুলো কেন্দ্রে যাবো, কতগুলো কাভার করবো। তারা যে এই ধরনের কারচুপি করবে সেটা আমরা আগে থেকেই জানতাম, আমারা আগে থেকেই বলে আসছি। এখন আপনারা দেখতে পারছেন।
ভোটাররা যখন হাতের ছাপ দিয়ে ব্যালট পেপার অ্যাকটিভ করছে তখন তাদের এজেন্ট যেয়ে তাদের মার্কায় ভোট দিয়ে দিচ্ছে। এটা সবখানেই হচ্ছে। আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে ভোটাররা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছেন ভোট দিতে পারছি না। যদি সম্ভব হত তাহলে আমি সবাইকে হেল্প করতাম। আমিতো চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করে যাব, আমি লড়াই করে যাব। শেষ পর্যন্ত তো অবশ্যই মাঠে থাকবো।