নয় মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার নগর উন্নয়নে টেস্ট খেলতে নামছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস ঐতিহ্যের আধুনিক ঢাকা গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনেই প্রার্থীরা একগাদা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন ভোটের আগে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিক সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ত্রিমুখী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জ দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম এতো দিন বলেছেন নয় মাস তিনি নগর নিয়ে অনুশীলন করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্ষমতা পেলে তার অনুশীলনকে কাজে লাগিয়ে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে দিবেন। সেই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন মেয়র আতিক। এখন দেখার বিষয় তিনি নগরবাসীর জন্য কি করেন।
পাঁচ বছর আগের ভোটে ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হক। তার মৃত্যুর পর গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপ-নির্বাচনে জিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে আসেন মো. আতিকুল ইসলাম। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সাবেক এই সভাপতি এর আগে ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
অপরদিকে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ব্যর্থতা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থনে ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি ঢাকাকে ঐতিহ্যের আধুনিক ঢাকা গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণের নবনির্বাচিত নগরপিতা শেখ ফজলে নূর তাপস পেশায় একজন ব্যারিস্টার। তার নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
তাপসের বাবা ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাপসের ফুফু। শেখ ফজলুল করিম সেলিম তাপসের চাচা।
১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর তাপস ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে ‘বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস’-এর জেনারেল কাউন্সিলের অধীনে বার ফাইনাল কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি। তাপস বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের একজন সদস্য।
১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য। ২০০১ সাল থেকে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।