ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর কবীর চৌধুরীকে (ট্রাক্টর প্রতীক) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের আগের দিন রাতে উঠিয়ে নিয়ে ভোট শেষ হওয়ার পর তার বাসার সামনে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবর এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর কবীর। তার অভিযোগ, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন তাকে অপহরণ করেছিল।
অভিযোগটি তদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিইসির প্রতি আহ্বান জানান আলমগীর কবীর। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকারও দাবি জানান তিনি।
অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, ‘আমি লন্ডন প্রবাসী। দেশে এসেছি। জনগণের সেবা করার জন্য উত্তর সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হই। নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি রাত ১টার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন (রেডিও প্রতীক) তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাসা ভাঙচুর করেছে। সেই সঙ্গে আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
নির্বাচনের দিন (১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর কে বা কারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়। আরও উল্লেখ থাকে যে, নির্বাচনের দিনে আমার আত্মীয়-স্বজন ও এজেন্ট ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয় নাই।’
বিষয়টি থানায় অবগত করলে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন আলমগীর কবীর।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হয়।