ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে দূষণমুক্ত নির্বাচনী প্রচারে পাঁচ দফা প্রস্তাব নিয়ে সব প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৬ প্রার্থীর সঙ্গে বসে ‘লেমিনেটেড পোস্টার ও শব্দ দূষণ’ মুক্ত নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় ইসি।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটের প্রচারে লেমিনেটেড পোস্টার ও মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের পর কমিশন পোস্টারের ‘বিকল্প’ কোন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ প্রার্থীকে রোববার বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বেলা ১১টায় প্রার্থীদের সঙ্গে বসবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পুরো কমিশন। ইসির প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রার্থীদের প্রস্তাবনা থাকলেও তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে দূষণ রোধে ৫টি প্রস্তাব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বুধবার ৬ প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসির পাঁচ প্রস্তাব হলো- অনুমোদিত মাত্রায় মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে; অনুমোদিত ক্যাম্পে পোস্টার, ব্যানার, ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা যাবে। পোস্টার ঝুলাতে হবে ইসি নির্ধারিত ২১ জায়গায়; একেকটি জায়গায় পালা করে মাইকিং চালাবে; শোভাযাত্রা-পদযাত্রা সীমিত করতে হবে; প্রত্যেক প্রার্থী নির্দিষ্ট দিন ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে; জনসভার জন্য এক বা একাধিক জায়গা নির্দিষ্ট কর দেওয়া হবে; পর্যায়ক্রমে অনুমোদন নিয়ে সভা করতে হবে; তোরণ, ফুটপাতে ক্যাম্প, রাস্তায় পথসভা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সবার সম্মতি পেলে ঢাকার এ উপ-নির্বাচনে দূষণমুক্ত প্রচার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ইসির উপ-সচিব রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, “ভোটের প্রচারণার বিধি-নিষেধের বিষয়ে আচরণবিধি রয়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রার্থীরা অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু লেমিনেটেড পোস্টার ও শব্দদূষণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এখন দুর্ভোগ কমাতে প্রার্থীদের সঙ্গে এক ধরনের ‘জেন্টেলম্যান এগ্রিমেন্ট’ করার চেষ্টা করছে কমিশন।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন নব নির্বাচিত মেয়র তাপস। ঢাকা দক্ষিণের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়।
এ আসনে ২১ মার্চ ভোটের দিন সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল গেল বুধবার। ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যাহারের সুযোগ শেষে ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ হবে।