আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ বাড়ছে

, নির্বাচন

মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-30 00:29:34

চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ বাড়ছে নির্বাচন কমিশনে। এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছেন আরেক প্রার্থী। দিন যতই যাচ্ছে অভিযোগের সংখ্যা ততই বাড়ছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন ধরে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থী অভিযোগ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে এসব অভিযোগ জমা পড়েছে। সেখান থেকে ১১টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগগুলো কী তা প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ।

এদিকে চসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিংয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী বেশিরভাগ প্রার্থীর ব্যানারের সাইজ অনেক বড়। আবার অনেক প্রার্থী রঙিন ব্যানারও টাঙিয়েছেন।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাপারে আমরা খুবই কঠোর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। ইতোমধ্যে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে তারা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন।

তিনি আরও বলেন, গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরপর প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে তফসিল ঘোষণার পরপরই। তবে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে এ অভিযান আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। এখন প্রতিদিনই চলছে মোবাইল কোর্ট। সতর্ক করা হচ্ছে প্রার্থীদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থীর অভিযোগ আসতে শুরু করে। কিন্তু দিনদিন বাড়ছে অভিযোগের সংখ্যা। এখন প্রার্থীদের আমরা সর্তক করছি। অনেকেই ব্যানার-পোস্টারে সাইজ মানছেন না। নিজেদের পছন্দ মতো সাইজে ব্যানার-পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা করছেন। আমরা তাদের সর্তক করছি। গুরুতর অভিযোগ পেলে জরিমানাসহ আরো কঠোর পদক্ষেপ নেব। এখন মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নামলেও নির্বাচনের তিনদিন আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নামবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে ৬ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৬ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৬১ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর