চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আলোচনা-সমালোচনা। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে প্রার্থীর সমর্থক ও অনুসারী। এমন অবস্থায় নগরীর পাঁচ শতাধিক ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নজরদারি বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৭৩৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে নির্বাচনের আগে বা পরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এছাড়া সাত থেকে আটটি ওয়ার্ডকে সংঘাত প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও বৈধ অস্ত্রধারী ব্যবহার ঠেকাতে শীগগিরই সিদ্ধান্তে যাচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারা। ওই ওয়ার্ডগুলোর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় অবস্থান করছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘৫ শতাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো কোন কোন কেন্দ্র সেটি বলতে পারব না। এসব কেন্দ্রের উপর নজরদারির পাশাপাশি যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে বৈধ অস্ত্রধারীদের অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার দিন নির্ধারণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে এসব ভোট কেন্দ্র এলাকায় পূর্বেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।’
চসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. বশির আহমদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা পুলিশ করবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু দিক-নির্দেশনাও রয়েছে। আমরা প্রার্থীদের আচরণবিধির জন্য ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছে।’
এদিকে, চসিক নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিংয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিং করার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করবেন। এছাড়া ৭৩৫ ভোট কেন্দ্রে কাজ করবেন ১৬ হাজার কর্মকর্তা। যাদের আগামী ২০ মার্চ থেকে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৬ জনপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের মধ্যে ১০৭ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।