নতুন এক ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি।
ন্যান্সির ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানি।
থাকেন ময়মনসিংহের নেত্রকোনা।
বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয় তার নামে।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা।
বিষয়টি নিয়ে হতবাক ন্যান্সি।
বলছেন-
আমাকে কেন মামলায় জড়ানো হলো? শুধু আমাকে না, সঙ্গে আমার স্বামীকেও জড়ানো হয়েছে। এর মানে কী! আমার ভাই তার স্ত্রীর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে, তা তো আমার জানার কথা না। আমি থাকি ময়মনসিংহ আর ভাই নেত্রকোনায়।
মামলার বাকি দুই আসামী অর্থাৎ ন্যান্সি ও জায়েদকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে সানি বেকারত্ব দেখিয়ে শানুকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও আসবাবপত্র এনে দিতে চাপ দেন। এতে শানু অপারগতা প্রকাশ করলে সানি তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। সম্প্রতি তার এই কাজে বড় বোন ন্যান্সি আর তার স্বামী জায়েদ সাহায্য করেন। তারা সানিকে উসকানি দেওয়া ছাড়াও শানুকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন।
গত ২৬ আগস্ট রাত নয়টার দিকে সানি শানুকে তার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেন। টাকা না দিলে তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সানি শানুকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় শানুর চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে শানুর বাবার বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বেশ কিছুদিন ধরে সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য সানিকে চাপ দিচ্ছেন তার স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু। কিন্তু তা স্ত্রীকে লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানান সানি। এরপর তা নিয়ে পারিবারিকভাবে তাদের কলহ হয়েছে। এমনকি শানু তার ভাইয়ের বন্ধুদের দিয়েও সানির ওপর হামলা করিয়েছেন, তাকে মেরেছেন, ভয় দেখিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সানি তার স্ত্রীকে তালাক দেন।
ন্যান্সি বলছেন-
যতটুকু বুঝতে পারছি, যেহেতু আমাকে দেশের সবাই চেনেন, জানেন, আমরা একটি পরিচিতি আছে, তাই আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমাকে জড়ানোর ফলে তারা এখন দেশের সব সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে। যেহেতু সব সংবাদমাধ্যমে খবর হচ্ছে, ফলে প্রশাসনও ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আর আরেকটি ব্যাপার বেশ বুঝতে পারছি, আমাকে দেশের সবার সামনে ছোট করার জন্য, আমার ইমেজের ক্ষতি করার জন্য তারা আমাকে এই মামলায় আসামি করেছে।
ন্যান্সি এখন ঢাকায় আছেন।
আরও পড়ুনঃ