স্টেরয়েডের ডোজ কমানোর পরই বেড়ে গিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আচ্ছন্ন ভাব। কমে গিয়েছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মস্তিষ্কের চেতনাও। বৃহস্পতিবারও (২২ অক্টোবর) তার শারীরিক অবস্থা একইরকম ছিলো। বরং হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় রক্ত দিতে হয়েছিলো।
অটোইমিউন এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোভিড এনসেফেলোপ্যাথি না কাটলে তার শারীরিক অবস্থা বদলাবে না।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও গত চার দিন ধরে একই রকম দুর্বল এবং অসংলগ্ন প্রবীণ অভিনেতা। কথা বলছেন না। মুখ দিয়ে খেতে পারছেন না। তার স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
স্টেরয়েডের মাত্রা কমানোর জন্যই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার কারণে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্টেরয়েড ছাড়া কীভাবে তাকে স্বাভাবিক করা যায়। সৌমিত্রের ফিজিয়োথেরাপির সঙ্গে স্পিচথেরাপি বা কথা বলানোর চিকিৎসাও শুরু হয়েছিলো। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন লাভ হয়নি।
চিকিৎসকদের মতে, এমনিতে ৮৫ বছর বয়সী এই তারকা এখন বিপদমুক্ত। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তার সময় লাগছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ৯ অক্টোবর থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। দু’বার দেওয়া হয় প্লাজমা থেরাপি। রাখা হয়েছিলো বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে। কিছুদিন আগেই সৌমিত্রের করোনা টেস্টের নেগেটিভ আসে। তারপর থেকেই ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তবে এবার বর্ষীয়ান অভিনেতার স্নায়ুর সমস্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।