বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর থেকে একইসঙ্গে দলের অর্ধেকেরও বেশি নাট্যকর্মী দলত্যাগ করে গত ১২ ডিসেম্বর। ৪ দিনের ব্যাবধানে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন তারা ‘থিয়েটারিয়ান’ নামে নতুন দলের ঘোষণা দিলেন।
নিজস্ব চিন্তা-চেতনায় সময়োপযোগী ও সৃজনশীল ভাবনা নিয়ে কাজ করবে থিয়েটারিয়ান। এ লক্ষ্যে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে দলটি পরিচালিত হবার লক্ষ্য তারা খুব শিগগিরই দুই বছর মেয়াদী একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করবেন।
নতুন দলের ঘোষণা উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় এক রেস্টুরেন্টে দলের সদস্যরা মিলিত হন। সেখানে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে কেক কেটে দলের ঘোষণা দেয়া হয়। সেখানে উপস্থিত সকল সদস্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সেই সাথে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরমধ্যে নতুন নাটক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই দলটি ষোষণা দেবে। থিয়েটারিয়ান সব সময় শিল্পের বিভিন্ন শাখায় কাজ করবে। তবে সবার আগে প্রাধান্য দেবে নাটক মঞ্চয়নে। দেশ-বিদেশের মান-সম্পন্ন নাটক তারা মঞ্চে আনবে, সেটা সাহিত্যের যেকোনো শাখাই হোক না কেন। এক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে শিল্পমানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে।
মহড়ার জন্য ঢাকার রামপুরা একটি অস্থায়ী মহড়া কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
থিয়েটারিয়ানের ৩০ জন সদস্য হলো- মাইনুল তাওহীদ, জাহিদুল ইসলাম, সরোয়ার সৈকত, ইউসুফ পলাশ , মীর সালাউদ্দিন বাবু, রবি খান, আবু হায়াত মাহমুদ, সায়েম সিদ্দিক অপু, সীমান্ত আমীন, শুভেচ্ছা রহমান, বন্ধু তুহিন, রিগ্যান সোহাগ, আমিরুল মামুন, জয়নাল আবেদীন মনির, ডালিম মিলাদ, অনিন্দ্র কিশোর, সুমী মণ্ডল, তৌহিদ বিপ্লব, সায়েদুর রহমান, আহমেদ সুজন, লিটু রায়, রুহুল আমীন রাজা, চৈতালি হালদার, নিরঞ্জন নীরু, মাহমুদুল হাসান , রাকিব খান রনক, এম এম আর মিঠুন, ঊর্মিল মজুমদার, আব্দুল হাই, আল-আভী জাহান টুসি।