পার্কে পান সুপারি বিক্রি করেন মেহজাবিন। সেখানে বাবার সঙ্গে জগিং করতে আসেন তাহসান। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দায়িত্ব তার হাতে দিয়ে বাবাকে অবসরে যেতে বললে বাবা তাকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। দূর থেকে পান সুপারি বিক্রেতা মেহজাবিনকে দেখিয়ে বলেন, এই মেয়েটাকে তার দায়িত্বে নিয়ে যদি বদলে দিতে পারেন তাহলে তাকে ফ্যাক্টরি চালানোর যোগ্য মনে করবেন।
তাহসান চ্যালেঞ্জটা নেন। মেহজাবিনের কাছে গিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে মেহজাবিন ক্ষুদ্ধ হয়ে মারতে গেলে দৌড়ে চলে যান তাহসান। তবে হাল ছাড়েন না। মেহজাবিনকে ফলো করে বস্তিতে তার বাসায় গিয়ে হাজির হন। সেখানেও তাকে দেখে বটি নিয়ে তাড়া করেন মেহজাবিন।
পরবর্তীতে আবার গিয়ে তার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে মায়ের অনুরোধে মেহজাবিন যেতে রাজি হন। বাসায় নিয়ে ধীরে ধীরে মেহজাবিনের ভাষা, পোশাক, আচরণ বদলে দেন। বাবা বিদেশ থেকে আসলে তাকে সারপ্রাইজ দেন তাহসান। উপহার হিসেবে মেহজাবিনকে একটা সুপার শপ করে দিতে চান। কিন্তু মেহজাবিন তাতে রাজি না হয়ে নিজের বাসায় ফিরে যান। আবার পার্কে পান সুপারি বিক্রয় শুরু করেন।
মেহজাবিন চলে যাওয়ার পর তাহসান তার প্রতি টান অনুভব করেন। মেহজাবিনকে ফিরিয়ে আনার জন্য এবার ভালোবাসার দাবি নিয়ে তার কাছে যান-এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘পান সুপারি’।
রাজীব আহমেদের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন রুবেল হাসান। অভিনয় করেছেন তাহসান, মেহজাবিন, কায়েস চৌধুরী।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি।