দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন লাইমলাইটের আড়ালে।
সেখান থেকে ক’দিন আগেই ফিরেছেন মুম্বাইয়ে।
ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী দিলেন হতবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য।
এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানালেন সেই কথা।
তনুশ্রীর মতে-
‘মিটু হ্যাশট্যাগ আন্দোলন হলিউডে হয়তো এক বা দু’বছর ধরে চলছে। কিন্তু ভারতে আমিই হয়তো হেনস্থার শিকার হয়ে প্রথম মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছিলাম। কী ঘটেছিল, সেটা সবাই দেখেছে। কিন্তু সবার ধারণা, হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলার পরেই তনুশ্রী ইন্ডাস্ট্রি থেকে গায়েব।’
‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে তনুশ্রীর সঙ্গে একজন অভিনেতা আপত্তিকর ব্যবহার করেন বলে তখন অভিযোগ করেছিলেন তনুশ্রী। এমনকি বাড়াবাড়ি এতটাই হয়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত কাজটি ছেড়ে দিতে হয়েছে বলে দাবি তার।
এখন তনুশ্রীর বক্তব্য-
‘ঘটনাটি ২০০৮ সালের। পুরো বলিউডই বিষয়টা জানতো। কিন্তু কেউ সেদিন প্রতিবাদ করেনি। আমার পাশে তো কেউ দাঁড়ায়নি বরং ওই অপরাধীকে আস্কারা দিয়েছে সবাই। আমার সঙ্গে কী ঘটেছিল, তা সারাদেশের মানুষ জানতো। কারণ ন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও তিন দিন ধরে লাগাতার এই একই জিনিস চলেছিল। এখন তো বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে গেছে।’
সেটে আসলে ঠিক কী ঘটেছিল?
তনুশ্রীর কথায়,
‘সেদিন ওই ব্যক্তি অসভ্যতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে অসভ্য আচরণ করছিলেন। তারপর কোরিওগ্রাফারদের আমাকে ভালো করে নাচ শেখাতে বলছিলেন। আমার সঙ্গে একটা অন্তরঙ্গ দৃশ্যেও অভিনয় করতে চাইছিলেন তিনি।’
এদিকে গত বছর হলিউডের নিন্দিত প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন হলিউডের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নায়িকা।
এই হেনস্থার কথা শুনে সাহসী হয়ে ওঠেন আরও অনেকে।
পরে ‘মিটু’ (Me too) হ্যাশট্যাগ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় দুনিয়াজুড়ে নারীরা যৌন হেনস্থার কথা জানাতে শুরু করেন।