পুত্র সন্তানের মা হলেন দিয়া মির্জা

, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 01:40:19

পুত্র সন্তানের মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ছেলের হাতের একটি ছবি এবং দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করে মা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৩৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।

দিয়া মির্জার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ছবিটি

দিয়া মির্জা ও বৈভব রেখি দম্পতি তাদের পুত্র সন্তানের নাম রাখেছেন আভ্যিয়ান আজাদ রেখি।

বলিউডের এই অভিনেত্রীর পোস্টের মাধ্যমে জানা গেছে- গত ১৪ মে নতুন এই অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। কিন্তু সে ছিলো প্রিম্যাচিউর বেবি। যার কারণে সে এখন নিওনেটাল আইসিইউতে আছে।

স্বামী বৈভব রেখির সঙ্গে দিয়া মির্জা


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দিয়া মির্জা। এরপর এপ্রিলে হানিমুনের জন্য মালদ্বীপ গিয়েছিলেন এই দম্পতি। আর সেখানেই নিজের বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করে মা হওয়া সুখবরটি দিয়েছিলেন দিয়া। বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং বিষয়টি বিয়ের আগে না জানানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলো বলিউডের এই অভিনেত্রীকে।

সেসময় দিয়া মির্জা বলেছিলেন, “সকলেই খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা বাবা-মা হতে যাচ্ছি এ কারণে বিয়ে করিনি। আমরা তখনই বিয়ের সিদ্ধান্তটি নিয়েছি যখন আমাদের মনে হয়েছে আমরা একসঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চাই। আমরা যখন বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করি তখনই জানতে পারি আমি অন্তঃসত্ত্বা। কিছু মেডিকেল ইস্যু ছিলো যার কারণে আমরা আগে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারিনি। এটি আমার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের খবর। এই দিনটির জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছি আমি। তাই এটি লুকিয়ে রাখার কোনো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছি কিছু মেডিকেল ইস্যুর কারণে।”



সেই মেডিকেল ইস্যুর কারণেই দিয়ার সন্তান সময়ের আগেই এ পৃথিবীতে চলে এসেছে। 

এ প্রসঙ্গে দিয়া জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় জটিল সমস্যায় দেখা যাওয়ায় তার জীবন সংকটে ছিল, সেই কারণেই সময়ের আগেই সি-সেকশনের মাধ্যমে তার গর্ভস্থ সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করবার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তারপর থেকেই নিওনেটাল আইসিইউতে রয়েছে সে।

দিয়া মির্জা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি তার দিকে.. ও সত্যি একটা আশ্চর্যই বটে, ওর কাছ থেকে শিখছি মানবতা, প্রকৃতির প্রতি বিশ্বাস এবং অবশ্যই মাতৃত্ব কী জিনিস। ভয় না পেয়ে কীভাবে লড়াই করতে হয়, সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় সেটাও ও আমাদের শিখিয়েছে। আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সকল মানুষকে যারা এই যাত্রায়, এই লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করেছে… আশার এই গল্পে তারাও অংশীদার হয়েছে, আভ্যিয়ানের জন্য একটা সুস্থ, সুরক্ষিত জায়গা করে তুলতে সাহায্য করেছে। শিগগিরই আভ্যিয়ান বাড়িতে আসবে, যেখানে ওর জন্য অপেক্ষা করছে ওর বড় বোন সামাইরা এবং ওর দাদা-দাদু… ওকে কোলে নেওয়ার জন্য তারা মুখিয়ে রয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর