সম্প্রতি ১৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন আমির খান ও কিরণ রাও। এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছিলেন। যেখানে তারা এটিও জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক না থাকলেও কাজের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
View this post on Instagram
আর তারা যে কথা দিয়েছেন সেই কথাটির প্রমাণও দিয়েছেন। বিচ্ছেদের পরও সাবেক এই দম্পতি সম্প্রতি ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবির শুটিংয়ের জন্য লাদাখের ওয়াখা গ্রামে গিয়েছিলেন। ছবিটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি এটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন আমির। পাশাপাশি এটির সহ-প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন কিরণ রাও।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সাবেক এই দম্পতির একটি ভিডিও। যেখানে লাদাখের ওয়াখা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নাচতে দেখা যাচ্ছে তাদের। নাচের জন্য তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকও পরেছিলেন তারা।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক এই দম্পতিকে একজন কৃষক দম্পতি নাচের স্টেপগুলো দেখিয়ে দিচ্ছেন আর সেটি অনুসরণ করছেন আমির-কিরণ।
আমির-কিরণের এই ভিডিওটির পাশাপাশি ভাইরাল হয়েছে আরও একটি ভিডিও যেখানে আমির খানকে ওয়াখা গ্রামের বাচ্চাদের সঙ্গে নাচতে দেখা গেছে।
This is the gift Bollywood star Amir Khan's upcoming movie Lal Singh Chada has left for the villagers of Wakha in Ladakh.
— Jigmat Ladakhi ?? (@nontsay) July 8, 2021
Amir Khan himself talks big about environmental cleanliness at Satyamev Jayate but this is what happens when it comes to himself. pic.twitter.com/exCE3bGHyB
এদিকে, লাদাখের ওয়াখা গ্রামে ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে নাকি সেখানকার পরিবেশ দূষণ করেছেন ছবিটির টিমের সদস্যরা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে আমিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে জিগমাত নামে এক ব্যক্তি লিখেছিলেন, “লাদাখের ওয়াখা গ্রামবাসীদের জন্য এই উপহার (পানির বোতল, খাবারের প্যাকেট) রেখে গেছে আমির খানে আসন্ন ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। পরিবেশ রক্ষার জন্য ‘সত্যমে জয়তে’ অনুষ্ঠানে অনেক বড় বড় কথা বলেন আমির খান। কিন্তু যখন নিজের বেলা আসলো তখন কী হলো?”
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিযোগটিকে সরাসরি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে আমিরের প্রযোজনা সংস্থা। এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা যখন যেখানে শুটিং করেন ততদিন সে সব অঞ্চলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্বটিও স্বেচ্ছায় নিজেদের কাঁধে নিয়ে নেন তারা। শুটিং শেষে আশেপাশে কোথাও কোনো আবর্জনা পড়ে থাকে কিনা তা ভালোভাবে জরিপ করে তাদের স্পেশাল টিম। সুতরাং, এই অভিযোগটি সত্য নয়।