চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপালি গিটারটি রাখার ইচ্ছে ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর

সুরতাল, বিনোদন

আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 02:15:48

ইচ্ছে ছিল নিজের রুপালি গিটারটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গেও কথা বলতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময়টুকু পাননি। হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হলো আইয়ুব বাচ্চুকে।

দুপুর সোয়া ১২টায় আইয়ু্ব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে গাড়ি যখন বাসার দিকে আসছিল, তখন আকাশে খরারোদ্র। রোদের প্রচণ্ড উত্তাপ সহ্য করে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করছিল বাড়ির সামনে। সবার উদ্দেশ্য একটি। যার সুরলা কণ্ঠের প্রতি উজ্জ্বীবিত হয়ে ব্যান্ড সংগীতকে আপন করে নিয়েছেন সেই গুরুকে শেষবার এক নজর দেখার।

আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন- বিখ্যাত এ শিল্পী চট্টগ্রামের অহংকার। তাই তার মরদেহকে যাথাযত সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। তাই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আইয়ুব বাচ্চুর মামা আবদুল হালিম লোহানী বার্তা২৪কে বলেন, আইয়ুব বাচ্চু তার গিটারগুলো নিলামে তুলতে চেয়েছিলেনে। পরে সেটি না করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করতে চেয়েছিলেন। বাচ্চু আমাকে বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করার জন্য। সেই ইচ্ছে পূরণ করার আগেই চলে যেতে হলো তাকে। তবে আমি তার রূপালি গিটারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবো। এটি আমার ভাগিনার শেষ ইচ্ছে ছিল, অবশ্যই পূরণ করবো।

আবদুল হালিম আরও বলেন- আইয়ু্ব বাচ্চুর খ্যাতি বিশ্বখ্যাত। তিনি খুব দানশীল ছিলেন। তার জীবনে কোন ধরণের বিপদগামী ছিলো না। দেশবাসির কাছে চাওয়া-পাওয়া একটিই, সবাই আইয়ুব বাচ্চুর জন্য দোয়া করবেন।

আইয়ু্ব বাচ্চুর মামা বলেন, আইয়ুব বাচ্চু আমাকে সব সময় দুইটি মা বলে ডাকতো। কারণ সে তার মা কে হারানোর পর আমাকে তার মা এবং মামা দুইটিই বলে সম্বোধন করতেন। আইয়ু্ব বাচ্চু দেশের সেরা রকস্টার হলেও আমার কাছে সব সময় ছিল আদরের ছোট্ট খোকা।

গত ১৮ অক্টোবর সকালে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ু্ব বাচ্চু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৬ বছর।

শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্টের মসজিদে আইয়ুব বাচ্চুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয় তার কফিন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।

শুক্রবার রাতে বিদেশ থেকে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে তাজয়াত আইয়ুব ও মেয়ে সাফরা আইয়ুব দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ইউএস বাংলার একটি বিমানে করে বাবার মরদেহ চট্টগ্রামে যান তারা। এখন আইয়ুব বাচ্চুর মরহেদ তার নানার বাড়িতে আছে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর