২৯ এ পা দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। ছোটপর্দা জয় করে বড়পর্দায়ও সফল মীম দুই বাংলাতেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। জন্মদিনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেই সময় কাটছে তার।
বার্তা ২৪.কমের সাথে জন্মদিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে মীম বলেন, “সারাদিন পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছি। প্রতি জন্মদিনেই তাই হয়। এখন বন্ধুর বাসায় আছি। রাতে ভক্তদের জন্য একটা সারপ্রাইজ দিবো।”
কী সেই সারপ্রাইজ? মীম হাসলেন। সে হাসি রহস্যমাখা।
মীম ব্যাস্ত রয়েছেন দীপংকর দীপনের পরিচালনায় ‘অন্তর্জাল’ চলচ্চিত্রে। এ সিনেমায় আইটি স্পেশালিস্ট হিসেবে দেখা যাবে মিমকে। এ ছাড়া সবশেষ মিম অভিনীত মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘সাপলুডু’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’- শিরোনামের সিনেমা।
১৯৯২ সালের ১০ নভেম্বর রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় বিরেন্দ্র নাথ সাহা ও ছবি সাহার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মীম। ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার এর বিজয়ী হয়ে সকলের নজর কাড়েন তিনি। ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার জেতেন।
২০০৯ সালেও জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য একই পুরস্কার জেতেন তিনি। ২০১৪ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত জোনাকির আলো চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (মৌসুমীর সাথে যৌথভাবে) নির্বাচিত হন।
তারপর থেকে প্রতিবছরই একাধিক চলচ্চিত্রে ব্যস্ত ছিলেন মীম। শুধু বাংলা দেশেই নয়, পশ্চিমবঙ্গের পর্দায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। সৃজিত মুখার্জির ইয়েতি অভিযান, রাজা চন্দর সুলতান: দ্য সেভিয়ার কিংবা অঙ্কিত আদিত্যর থাই কারি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে।